স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল বিভাগে গত এপ্রিলে বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ২৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা বিভাগের মোট সংক্রমণের ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এপ্রিল মাসে বিভাগে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন, যা বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অথচ গত বছরের এপ্রিলে বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১০ জনের। আর মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন দুজন রোগী মারা গেছেন। এ দুজনের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন, অপরজন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এ নিয়ে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৬১১ জন রোগীর মৃত্যু হলো। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা যান ৪৩৩ জন, আর করোনা পজিটিভ রোগী মারা গেছেন ১৭৮ জন। আজ সোমবার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। গত এপ্রিলে বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ২৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এপ্রিল মাসে বিভাগে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন। অথচ গত বছরের এপ্রিলে বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১০ জনের। আর মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩২ জন নেগেটিভ ও ৫৩ জন পজিটিভ হয়েছেন। অর্থাৎ করোনা পজিটিভ এসেছে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশের। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ৭৮ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৫৪ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। আর ২৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী। এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিভাগের ৬ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় রয়েছেন ২৩ জন, পটুয়াখালীতে ১৩, ভোলায় ৯, পিরোজপুরে ৩, বরগুনায় ৬ ও ঝালকাঠির ৮ জন রয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পটুয়াখালীতে ২ হাজার ১৩৬, ভোলায় ১ হাজার ৭৭৭, পিরোজপুরে ১ হাজার ৫৮৪, বরগুনায় ১ হাজার ২১৯ ও ঝালকাঠিতে ১ হাজার ২৭৯ জন আক্রান্ত। বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৭। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় রয়েছে ১১৩ জন, পটুয়াখালীতে ৫০, ভোলায় ২৪, পিরোজপুরে ৩১, বরগুনায় ২৪ ও ঝালকাঠিতে ২৫ জন মারা গেছেন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সংক্রমণের গতি কয়েক দিন কিছুটা কম এবং তা কখনো ওঠানামা করছে। তবে আগের চেয়ে অনেকটা নিম্নমুখী। এর পেছনে সর্বাত্মক লকডাউনের সুফল রয়েছে। তবে সংক্রমণের নিম্নমুখী অবস্থা ধরে রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সামনে ঈদ। এ সময়ে যাতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন না হয় এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
Leave a Reply